পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী

ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
যশোর কিশোর উন্নয়ন কেন্দ্রের হতাহতের ঘটনায় কেন্দ্রের সহকারী পরিচালক (সুপার)সহ ৫ জন কর্মকর্তার রিমান্ড মঞ্জুর করেছে আদালত। গতকাল শনিবার গ্রেফতারের পর তাদেরকে আদালতে হাজির করে রিমান্ড চাওয়া হয়েছে। পরে আদালত সহকারী পরিচালক আব্দুল্লাহ আল মাসুদ, মাসুম বিল্লাহ ও মুশফিকুর রহমানকে পাঁচ দিন করে এবং শাহানুর আলম ও ওমর ফারুককে তিনদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এই তথ্য জানান অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) মোহাম্মদ তৌহিদুল ইসলাম। বর্তমানে কেন্দ্রে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। আহতরা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। বন্দি কিশোর রাব্বির পিতা রোকা মিয়া কোতয়ালি মডেল থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন- কেন্দ্রের সহকারী পরিচালক ও সুপার আব্দুল্লাহহ আল মাসুদ, সহকারী তত্ত্বাবধায়ক মাসুম বিল্লাহ, কারিগরি প্রশিক্ষক ওমর ফারুক, ফিজিক্যাল ইন্সট্রাক্টর এ কে এম শাহানুর আলম ও সাইকো সোশ্যাল কাউন্সিলর মুশফিকুর রহমান।
ইতোমধ্যেই সহকারি পরিচালককে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। গঠন করা হয়েছে সমাজ কল্যাণ মন্ত্রণালয় ও সমাজসেবা অধিদপ্তর থেকে পৃথক ২টি তদন্ত কমিটি। তদন্ত কমিটি কাজ শুরু করেছে।
বন্দি কিশোরদের হতাহতের ঘটনায় গতকাল শনিবার পুলিশ সুপার মুহাম্মদ আশরাফ হোসেন পিপিএম প্রেস ব্রিফিং করেন। তিনি ঘটনার সূত্রপাত থেকে আদ্যপান্ত উদঘাটন করেছেন যা সাংবাদিকদের কাছে তুলে ধরেন। পুলিশ সুপার বলেন, ঘটনার সূত্রপাত গত ৩ আগস্ট। কিশোর বন্দি হৃদয়কে হেডগার্ড নূর ইসলাম ঈদের আগে ১০ বন্দির চুল কেটে দিতে বলে। হৃদয় তার হাত ব্যাথা উল্লেখ করে চুল কাটতে অস্বীকৃতি জানায়। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে হেডগার্ড তত্ত্বাবধায়ক আবদুল্লাহ আল মাসুদ ও সহকারী তত্ত্বাবধায়ক মাসুম বিল্লাহর কাছে অভিযোগ করে যে, ‘ওরা ট্যাবলেট খেয়ে নেশাগ্রস্ত আছে এবং হৃদয় ও পাভেলের মধ্যে অনৈতিক সম্পর্কের ইঙ্গিত দেয়’। এ অভিযোগ জানতে পেরে ক্ষিপ্ত হয়ে পাভেলসহ কয়েকজন হেডগার্ডকে মারপিট করে। এরই জের ধরে গত বৃহস্পতিবার মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে।
পুলিশ সুপার মুহাম্মদ আশরাফ হোসেন জানান, ১৩ আগস্ট কেন্দ্রে জাতীয় শোক দিবস পালন উপলক্ষে একটি সভা হয়। সভায় ১৯ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী উপস্থিত ছিলেন। সভায় হেডগার্ড নূর ইসলামের ওপর হামলাকারীদের শাস্তির সিদ্ধান্ত হয়। শনাক্ত করে বন্দি কিশোরদের রুম থেকে বের করে আনা হয়। কেন্দ্রের গ্রেফতারকৃত পাঁচ কর্মকর্তার নেতৃত্বে তাদের আজ্ঞাবহ কয়েকজন কর্মচারি ও বন্দি অভিযুক্তদের মুখে গামছা ঢুকিয়ে লোহার রড দিয়ে মারপিট করতে থাকে। দফায় দফায় চালানো হয় পৈশাচিক নির্যাতন।
পুলিশ সুপার আরো বলেন, একপর্যায়ে জ্ঞান হারিয়ে ফেললে মারপিট বন্ধ করা হয়। গুরুতর আহত অবস্থায় প্রায় ৬ ঘণ্টা একটি কক্ষে ফেলে রাখা হয়। চিকিৎসা দেয়া হয় একজন কম্পাউন্ডার দিয়ে। আহত বন্দি কিশোরদের মধ্যে একজন মারা গেলে হাসপাতালে পাঠানো হয়। পরে খবর পেয়ে দ্রুত জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার ও সিভিল সার্জন ঘটনাস্থলে ছুটে যান। গিয়ে তারা প্রত্যক্ষ করেণ একটি ঘরে গাদাগাদি করে আহতদের ফেলে রাখা হয়েছে। দুপুরের খাবার ও চিকিৎসা দেয়া হয়নি। এরই মধ্যে আরো ২ জন মারা যায়। একে একে হতাহতদের হাসপাতালে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।